মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর আয়োজিত যৌন শিশু পাচার প্রতিরোধে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম বলেছেন, মানব পাচারের দুটি মারাত্মক ক্ষতি। এরমধ্যে যে পাচার হয় তার জীবনাশঙ্কা তৈরি হয়। অন্যদিকে তার পরিবারের উপর নেমে আসে মারাত্মক ট্রমা। সে কারণে অনেক নারী সারভাইভারকে তার পরিবার ও সমাজ মেনে নিতে পারেনা। এই ট্যাবু থেকে বের হয়ে আসতে হবে। পাচারের শিকার শিশু ও নারীকে মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন ভাবে নিজ নিজ পরিবারে ফিরিয়ে দিতে হবে। তারা যাতে ভালোভাবে জীবন ধারণ করতে পারে সেজন্যে তাদেরকে দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পৃথিবীতে দক্ষ মানুষের খুব চাহিদা।
সোমবার ২৩ ডিসেম্বর মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর আয়োজিত যৌন শিশু পাচার প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক উপরোক্ত কথা বলেন। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইকপ্যাট লুক্সেমবার্গের মুক্তি সাউথ এশিয়া প্রকল্পের অধীনে হোটেল ওরিয়নে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।
জেলা প্রশাসক বলেন, যেসব সারভাইভারকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তাদেরকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে দিতে স্বাবলম্বী করতে হবে। এজন্যে তাদেরকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যদিও অনেক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এই বিষয়ে কাজ করছে। তবে, কাজটি যাতে ফলপ্রসূ হয় সেদিকে সচেষ্ট হতে হবে। তা না হলে মানব পাচার প্রতিরোধের বিষয়টি সঠিকতা পাবে না।
রাইটস যশোরের উপ-পরিচালক (কর্মসূচি) এস এম আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন পরিচালক (কর্মসূচি) প্রদীপ দত্ত। এতে নেপাল থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মুক্তি সাউথ এশিয়ার টিম লিডার ভবানী প্রসাদ দাহাল।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার হাসান, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের অনস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার অমিত শাহরিয়ার, কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা পারভীন। আরও উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুল লতিফ লতা, জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র বালকের তত্বাবধায়ক মঞ্জুরুল ইসলাম ও বালিকার তত্বাবধায়ক শামিমা ইয়াসমিন, প্রবেশন অফিসার আব্দুল ওয়াহাবসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় যৌন শিশু পাচার প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে অংশ গ্রহণকারীরা গ্রুপ ওয়ার্ক ও উপস্থাপন করেন। সভায় প্রস্তাব করা হয়, সরকারের শিশু কল্যাণ বোর্ড ইউনিয়ন পর্যায়েও গঠন করতে হবে। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের সুরক্ষা ও কল্যাণে ইতিবাচকভাবে কাজ করতে হবে। সেইসাথে শিশু পাচার ও শিশুর উপর সকল প্রকার নির্যাতন প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে পটল চাষে বাম্পার ফলন
গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু
শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পাকিস্তানে অবশেষে সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনা শুরু
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি